ফতোয়া নং: ৪৭৯৯
তারিখ:
৮-ফেব্রুয়ারি-২০১৭
বিষয়:
কুরআন মাজীদ হিফয করে ভুলে যাওয়া ৷
প্রশ্ন
হুজুর আমি একজন হাফেযা ৷ কুরআন মজীদ হিফয করেছিলাম ৷ বিয়ের পর সাংসারিক জীবনের ব্যস্ততা ও বিভিন্ন ঝামেলার কারণে কুরআন মজীদের তেলাওয়াত ও চর্চা কম হওয়ায় এখন হিফয প্রায় ভুলেই গেছি । এক পারাও মনে হয় ভালোভাবে শুনাতে পারব না। কুরআন হিফয করে ভুলে গেলে হাদীস শরীফে খুব ভয়াবহ শাস্তির কথা এসেছে। তাই আমি খুব চিন্তিত। এ বিষয়ের হাদীস ব্যাখ্যাসহ আমার করনীয় কি জানতে চাই ৷
উত্তর
কুরআন মাজীদ হিফয করে ভুলে যাওয়া প্রসঙ্গে হাদীসটি হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন মজীদ পড়ল অতঃপর তা ভুলে গেল। কিয়মতের দিন সে কুষ্ঠরোগী হয়ে আল্লাহ তাআলার সামনে দন্ডায়মান হবে।
সুনানে আবু দাউদ ১/২০৭৷
কোনো কোনো ব্যাখ্যাকার উক্ত হাদীসে ‘ভুলে যাওয়া’
শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, এই শাস্তি ঐ ব্যক্তির জন্য যে কুরআন মজীদ হিফয করার পর নিজ অবহেলা ও ভুলের কারণে দেখে দেখে তেলাওয়াত করার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলেছে। আর কোনো কোনো
মুহাক্কিক ব্যাখ্যাকার ‘ভুলে যাওয়া’-এর ব্যাখ্যা করেছেন মুখস্ত পড়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলা। অর্থাৎ যে কুরআন মজীদ মুখস্ত করার পর আর মুখস্ত রাখতে পারল না, মুখস্ত পড়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে তার ব্যাপারে উক্ত শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
অতএব এটি খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আল্লাহ তাআলাযকোনো বান্দাকে তাঁর পবিত্র কালাম কুরআন মজীদ হিফয করার মতো বিরাট নেয়ামত দান করলেন আর সে তার অবহেলা ও ত্রুটির দরুণ তা ভুলে গেলে। এটি তাঁর এই মহান নেআমতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। তাই এখন তার কর্তব্য হল, প্রতিদিন কিছু সময় হলেও নিয়মিত তেলাওয়াত করে যাওয়া এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ইস্তিগফার করা।
সুনানে আবু দাউদ ১/২০৭, ১/৬৬; মিরকাতুল মাফাতীহ ৫/৯;বাযলুল মাজহুদ ৩/৩০২, মালফূযাতে হাকীমুল উম্মত ২৩/২০১৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
সুনানে আবু দাউদ ১/২০৭৷
কোনো কোনো ব্যাখ্যাকার উক্ত হাদীসে ‘ভুলে যাওয়া’
শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, এই শাস্তি ঐ ব্যক্তির জন্য যে কুরআন মজীদ হিফয করার পর নিজ অবহেলা ও ভুলের কারণে দেখে দেখে তেলাওয়াত করার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলেছে। আর কোনো কোনো
মুহাক্কিক ব্যাখ্যাকার ‘ভুলে যাওয়া’-এর ব্যাখ্যা করেছেন মুখস্ত পড়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলা। অর্থাৎ যে কুরআন মজীদ মুখস্ত করার পর আর মুখস্ত রাখতে পারল না, মুখস্ত পড়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে তার ব্যাপারে উক্ত শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
অতএব এটি খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আল্লাহ তাআলাযকোনো বান্দাকে তাঁর পবিত্র কালাম কুরআন মজীদ হিফয করার মতো বিরাট নেয়ামত দান করলেন আর সে তার অবহেলা ও ত্রুটির দরুণ তা ভুলে গেলে। এটি তাঁর এই মহান নেআমতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। তাই এখন তার কর্তব্য হল, প্রতিদিন কিছু সময় হলেও নিয়মিত তেলাওয়াত করে যাওয়া এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ইস্তিগফার করা।
সুনানে আবু দাউদ ১/২০৭, ১/৬৬; মিরকাতুল মাফাতীহ ৫/৯;বাযলুল মাজহুদ ৩/৩০২, মালফূযাতে হাকীমুল উম্মত ২৩/২০১৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- রাবেয়া ও রাজিয়া আপন বোন। ছোটবেলায় তাদের মা অসুস্থ থাকায়...
- আমি ছোট থাকা অবস্থায় আমার আব্বা-আম্মার মাঝে কোনো কারণে তালাকের...
- বছর খানেক হয়ে গেছে খালেদের শ্বশুর মারা যায়। এখন খালেদের...
- একটি মেয়ের বিবাহ হয়েছে তার মায়ের সৎ মামার সাথে। সৎ...
- কোনো বাচ্চা যদি তার সৎ মায়ের দুধ পান করে তাহলে...
- আমার এক নিকটাত্মীয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাদের একটি ছেলে ও...
- আমার আম্মা অসুস্থ থাকার কারণে আমার খালাম্মা শৈশবে আমাকে কিছুদিন...
- আমাদের দেশের বিবাহ-শাদীতে সাধারণত যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তা...
- এক মেয়ে ও এক ছেলের মাঝে সম্পর্ক ছিল। মা জানতে...
- সালামবাদ জনাব, আমাদের গ্রামের এক মেয়ে তার পিতার সৎ চাচা...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ বিবাহ-তালাক