ফতোয়া নং: ৪৭২৮
তারিখ:
১-ডিসেম্বর-২০১৬
বিষয়:
পুরুষের জন্য স্বর্ণ বা রুপার আংটি ব্যবহার৷
প্রশ্ন
পুরুষদের আংটি পরিধানের ব্যাপারে আমাদের শরিয়ত কি বলে? আংটি স্বর্ণ বা রুপার পরিমান কি হলে পরিধান করা যাবে ?
উত্তর
তাকদীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনা বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার যেমন–শনির দশা, রাহুর গ্রাস ও কালের দৃষ্টি থেকে রক্ষা; ফাড়া কাটানো, দূর্ভাগ্য দূর করা, সৌভাগ্য আনয়ন করা; এসব উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার করা৷হারাম ও শিরিক।
এছাড়া পুরুষের জন্য দুই শর্তে আংটির ব্যবহার করা জায়েয।
১৷
রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করবে।
২৷
পাঁচ মাশা (৪.৮৬ গ্রাম) থেকে কম হতে হবে।
আহসানুল ফাতওয়া খণ্ড : ৮, পৃ. ৬৯-৭০/রদ্দে মুখতার, খণ্ড : ৫, পৃ. ২২৯৷
আর যেসব ধাতু কাফিরদের সঙ্গে কিংবা তাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমন শিশা, পিতল, কাঁসা ও লোহার আংটি ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য মাকরূহ।
ইসলাম বনাম বিজাতির অনুকরণ, হাকিমুল উম্মত ক্বারী তৈয়্যব সাহেব (রহ.) পৃ.৷১৭১-১৭)।
তবে অসুস্থতার কারণে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অন্য ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে। আমাদের প্রিয় নবী(সা.) রাষ্ট্রীয় দাপ্তরিক কাজে সীলমোহর হিসেবে রুপার আংটি ব্যবহার করতেন।
স্বর্ণের আংটি বা সোনার অন্য যে কোন অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য একেবারে হারাম। আবু মুসা আশ‘আরী (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,
ﺃُﺣِﻞَّ ﺍﻟﺬَّﻫَﺐُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺮِﻳﺮُ ﻟِﺈِﻧَﺎﺙِ ﺃُﻣَّﺘِﻲ، ﻭَﺣُﺮِّﻡَ
ﻋَﻠَﻰ ﺫُﻛُﻮﺭِﻫَﺎ
“আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদেরজন্য হারাম করেছেন।”
সুনান নাসাঈ হাদীস নং-৫২৬৫৷
এছাড়া পুরুষের জন্য দুই শর্তে আংটির ব্যবহার করা জায়েয।
১৷
রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করবে।
২৷
পাঁচ মাশা (৪.৮৬ গ্রাম) থেকে কম হতে হবে।
আহসানুল ফাতওয়া খণ্ড : ৮, পৃ. ৬৯-৭০/রদ্দে মুখতার, খণ্ড : ৫, পৃ. ২২৯৷
আর যেসব ধাতু কাফিরদের সঙ্গে কিংবা তাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমন শিশা, পিতল, কাঁসা ও লোহার আংটি ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য মাকরূহ।
ইসলাম বনাম বিজাতির অনুকরণ, হাকিমুল উম্মত ক্বারী তৈয়্যব সাহেব (রহ.) পৃ.৷১৭১-১৭)।
তবে অসুস্থতার কারণে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অন্য ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে। আমাদের প্রিয় নবী(সা.) রাষ্ট্রীয় দাপ্তরিক কাজে সীলমোহর হিসেবে রুপার আংটি ব্যবহার করতেন।
স্বর্ণের আংটি বা সোনার অন্য যে কোন অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য একেবারে হারাম। আবু মুসা আশ‘আরী (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,
ﺃُﺣِﻞَّ ﺍﻟﺬَّﻫَﺐُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺮِﻳﺮُ ﻟِﺈِﻧَﺎﺙِ ﺃُﻣَّﺘِﻲ، ﻭَﺣُﺮِّﻡَ
ﻋَﻠَﻰ ﺫُﻛُﻮﺭِﻫَﺎ
“আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদেরজন্য হারাম করেছেন।”
সুনান নাসাঈ হাদীস নং-৫২৬৫৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- কোনো কোনো হোটেলে নাস্তা বা খানা খাওয়ার পর হাত মোছার...
- কিছুদিন আগে আমি গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখানে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম।...
- ১. কয়েকদিন আগে এক মসজিদে জুমার নামায পড়ার সময় নামাযের...
- নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা, লেখক : মাওলানা বেলায়েত হুসাইন। বইটিতে...
- এক কিতাবে পেয়েছি, গোশত, তরকারি গন্ধ হয়ে গেলে নাকি নাপাক...
- কোনো প্রাণীর ছবিযুক্ত গেঞ্জি গায়ে দিয়ে নামায পড়লে কি নামায...
- মাগরিবের নামায কখন পড়া উত্তম? রমযান মাসে ইফতারের জন্য কিছুটা...
- পাগড়ি পরিধানের হুকুম কী? বিস্তারিত জানতে চাই। অনেককে দেখা যায়,...
- কাপড়ে রাস্তার কাদা লাগলে কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে?
- আমি একটি বায়িং হাউজে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার পদে কর্মরত। বিভিন্ন গার্মেন্টস...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ খাওয়া-পোশাক