ফতোয়া নং: ৪৪৫৬
তারিখ:
১-সেপ্টেম্বর-২০১৬
বিষয়:
আমাদের কলেজ একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর...
প্রশ্ন
আমাদের কলেজ একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র প্রতিষ্ঠানের
প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর টাকা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫০% এবং চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ৫০% ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। উক্ত টাকা চাকরি শেষে চাকরিজীবীদের প্রদান করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ৫০% এর উপর এফ.ডি.আর. করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ টাকাও চাকরির শেষে মূল ও বর্ধিত অংশসহ চাকরিজীবীদেরকে প্রদান করা হবে। অতএব এ অবস্থায় উক্ত মূল ও বর্ধিত অংশ চাকরির শেষে গ্রহণ করা যাবে কি না?
প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর টাকা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫০% এবং চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ৫০% ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। উক্ত টাকা চাকরি শেষে চাকরিজীবীদের প্রদান করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ৫০% এর উপর এফ.ডি.আর. করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ টাকাও চাকরির শেষে মূল ও বর্ধিত অংশসহ চাকরিজীবীদেরকে প্রদান করা হবে। অতএব এ অবস্থায় উক্ত মূল ও বর্ধিত অংশ চাকরির শেষে গ্রহণ করা যাবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ফান্ডে টাকা
জমা রাখা যদি ঐচ্ছিক হয় অর্থাৎ কেউ চাইলে উক্ত ফান্ডের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে রাখতে পারে, আবার চাইলে পুরো বেতন উঠিয়েও নিতে পারে তাহলে এই ফান্ডে টাকা জমা করা জায়েয হবে না। যদি কেউ জমা করে ফেলে তবে টাকা উঠানোর পর মূল জমা অর্থাৎ নিজ বেতনের অংশ নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর এর অতিরিক্ত যা পাবে তা সুদ। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব-
মিসকীনদেরকে তা সদকা করে দিতে
হবে।
আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা যদি ঐচ্ছিক না হয়; বরং এর জন্য প্রত্যেকের বেতন থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলকভাবে টাকা কেটে রেখে দেয় তাহলে ব্যাংকে সুদীভাবে টাকা জমা রাখার দায় সরাসরি চাকরিজীবীদের উপর আসবে না। বরং এর গুনাহ কর্তৃপক্ষের হবে। আর এক্ষেত্রে তারা নিজ বেতনের অংশ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবে। এর অতিরিক্ত টাকা সুদ। তা সদকা করে দিতে হবে।
-মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ২৫১১, ২৫১৩; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৫-৪৬৯; কেফায়াতুল মুফতী ১১/২৭৫৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
জমা রাখা যদি ঐচ্ছিক হয় অর্থাৎ কেউ চাইলে উক্ত ফান্ডের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে রাখতে পারে, আবার চাইলে পুরো বেতন উঠিয়েও নিতে পারে তাহলে এই ফান্ডে টাকা জমা করা জায়েয হবে না। যদি কেউ জমা করে ফেলে তবে টাকা উঠানোর পর মূল জমা অর্থাৎ নিজ বেতনের অংশ নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর এর অতিরিক্ত যা পাবে তা সুদ। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব-
মিসকীনদেরকে তা সদকা করে দিতে
হবে।
আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা যদি ঐচ্ছিক না হয়; বরং এর জন্য প্রত্যেকের বেতন থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলকভাবে টাকা কেটে রেখে দেয় তাহলে ব্যাংকে সুদীভাবে টাকা জমা রাখার দায় সরাসরি চাকরিজীবীদের উপর আসবে না। বরং এর গুনাহ কর্তৃপক্ষের হবে। আর এক্ষেত্রে তারা নিজ বেতনের অংশ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবে। এর অতিরিক্ত টাকা সুদ। তা সদকা করে দিতে হবে।
-মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ২৫১১, ২৫১৩; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৫-৪৬৯; কেফায়াতুল মুফতী ১১/২৭৫৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- সুদের টাকা দ্বারা ট্যাক্স বা ঘুষ দেওয়া বিধান ৷
- জিপি ফান্ডে বাধ্যতামূলক বা স্বেচ্ছায় বেতনের অংশ কেটে রেখে তার উপর প্রদত্ত সুদের বিধান৷
- আমরা বিশজন মিলে একটা সংগঠন করেছি। উদ্দেশ্য হল, সবাই সমানভাবে...
- আমি একজন মুদি ব্যবসায়ী। গত বছর আমি অন্য এক ব্যবসায়ীকে...
- আমি নয় লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মুদি দোকান দিতে যাচ্ছি।...
- আমাদের গ্রামে শাক সবজি ইত্যাদি চাষাবাদকারী কৃষকদেরকে ঢাকার বিভিন্ন আড়তদাররা...
- আমি একজন সরকারী চাকুরীজীবী, আমার প্রশ্ন হল১. একজন সরকারী কর্মচারী...
- আমাদের দুই ভাইয়ের মীরাস সূত্রে পাওয়া একটি মালবাহী কার্গো আছে।...
- দুই বছর পূর্বে আমি আমার বড় ভাই থেকে আঠারো লক্ষ...
- ক. ট্রেনে চলাচলকালে অনেক সময় টিকেট না থাকলে ড্রাইভার কিংবা...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ব্যবসা-চাকুরী