ফতোয়া নং: ৪১৪১
তারিখ:
১-জুন-২০১৬
বিষয়:
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী তালাশ করছিলাম। কিন্তু কোথাও মনমত চাকুরী...
প্রশ্ন
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী তালাশ করছিলাম। কিন্তু কোথাও মনমত চাকুরী
খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একবার একটা ভাল চাকুরির ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হই।
কিন্তু চাকুরী হবে কি না তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। তখন আমি এই বলে মান্নত করি যে, যদি আমার এই চাকুরিটা হয়ে যায় তাহলে আমি প্রতি জুমার দিন রোযা রাখবো। ঘটনাক্রমে আমার ঐ চাকুরিটা হয়ে যায়। তাই আমি প্রত্যেক জুমার দিন রোযা রেখে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে আমার সাংসারিক ঝামেলা অনেক বেড়ে গেছে। তাই মাঝেমধ্যে জুমআর দিনে রোযা রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। হুযুরের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, রোযা না রাখতে পারলে আমার করণীয় কী? যে দিনগুরোর রোযা ছুটেছে সেগুলোর জন্য কী করতে হবে? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একবার একটা ভাল চাকুরির ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হই।
কিন্তু চাকুরী হবে কি না তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। তখন আমি এই বলে মান্নত করি যে, যদি আমার এই চাকুরিটা হয়ে যায় তাহলে আমি প্রতি জুমার দিন রোযা রাখবো। ঘটনাক্রমে আমার ঐ চাকুরিটা হয়ে যায়। তাই আমি প্রত্যেক জুমার দিন রোযা রেখে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে আমার সাংসারিক ঝামেলা অনেক বেড়ে গেছে। তাই মাঝেমধ্যে জুমআর দিনে রোযা রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। হুযুরের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, রোযা না রাখতে পারলে আমার করণীয় কী? যে দিনগুরোর রোযা ছুটেছে সেগুলোর জন্য কী করতে হবে? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত মান্নতের কারণে আপনার উপর প্রতি জুমাবার রোযা রাখা ওয়াজিব।
কোনো কারণে জুমাবারে রোযা রাখা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে অন্য কোনোদিন
তা কাযা করে নিতে হবে। আর বিগত যে কয়দিনের রোযা ছুটেছে সেগুলোও কাযা
করতে হবে। অবশ্য ভবিষ্যতে বার্ধক্য বা জটিল কোনো অসুস্থতার কারণে রোযা
রাখা সম্ভব না হলে এবং পরবর্তীতে কাযা করার সামর্থ্যও ফিরে পাওয়ার
সম্ভাবনা না থাকলে তখন প্রত্যেক রোযার জন্য একটি করে ফিদয়া দিতে হবে।
ফিদয়া হলো, একজন দরিদ্রকে তৃপ্তি সহকারে দুইবেলা খাওয়ানো বা এর মূল্য
দিয়ে দেওয়া।
আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৭৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৯; আদ্দুররুল
মুখতার ৩/৭৩৫
কোনো কারণে জুমাবারে রোযা রাখা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে অন্য কোনোদিন
তা কাযা করে নিতে হবে। আর বিগত যে কয়দিনের রোযা ছুটেছে সেগুলোও কাযা
করতে হবে। অবশ্য ভবিষ্যতে বার্ধক্য বা জটিল কোনো অসুস্থতার কারণে রোযা
রাখা সম্ভব না হলে এবং পরবর্তীতে কাযা করার সামর্থ্যও ফিরে পাওয়ার
সম্ভাবনা না থাকলে তখন প্রত্যেক রোযার জন্য একটি করে ফিদয়া দিতে হবে।
ফিদয়া হলো, একজন দরিদ্রকে তৃপ্তি সহকারে দুইবেলা খাওয়ানো বা এর মূল্য
দিয়ে দেওয়া।
আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৭৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৯; আদ্দুররুল
মুখতার ৩/৭৩৫
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি দাড়ি রাখার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে গিয়ে...
- চাচার কাছে শুনেছি দাদীর অনেক জায়গা-জমি ছিল। চাচার বর্ণনা অনুযায়ী...
- এক লোক মান্নত করলো, আল্লাহ যদি এই অসুস্থ গরুটি ভাল...
- গত বছর একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি রমযানের শেষ দশকে...
- ক. কসমের কাফফারার রোযা কি লাগাতার ধারাবাহিকভাবে রাখতে হয়, নাকি...
- আমার ছোট ছেলে যখন গর্ভে তখন আমি মানত করেছিলাম, যদি...
- কিছুদিন আগে আমার মা একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।...
- আমার ছেলে গত মাসে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সুস্থতার কোনো...
- আমার বড় মেয়ের বিবাহ নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন...
- কিছুদিন আগে আমার ছেলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। তার আশঙ্কাজনক...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ কসম-মান্নত