ফতোয়া নং: ৩৭৬৯
তারিখ:
১-ফেব্রুয়ারি-২০১৬
বিষয়:
খুতবা চলাবস্থায় খুতবা প্রদানকারী এবং শ্রোতাদের জন্য আমর বিল মারূফ...
প্রশ্ন
খুতবা চলাবস্থায় খুতবা প্রদানকারী এবং শ্রোতাদের জন্য আমর বিল মারূফ এবং নাহী আনিল মুনকারের হুকুম কী? এ সময় কি তাদের উপর এ হুকুম প্রযোজ্য নয়?
উত্তর
খুতবা চলা অবস্থায় উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য চুপ থেকে মনোযোগসহ খুতবা শোনা ওয়াজিব। এ সময় শ্রোতাদের জন্য দ্বীনী-দুনিয়াবী কোনো ধরনের কথা বলা নাজায়েয এবং কাউকে কথাবার্তা বলতে দেখলে তাকে মৌখিকভাবে বারণ করাও নিষেধ। মুসল্লিদের জন্য এ সময়ে শরীয়তের হুকুম হল, চুপ থাকা এবং মনোযোগসহ খুতবা
শোনা।
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় তুমি যদি পাশের ব্যক্তিকে বল ‘চুপ থাক’ তবে তুমি তা একটি অনর্থক কাজ করলে।-সহীহ বুখারী, হাসীস
৯৩৪
সুতরাং খুতবা চলা অবস্থায় শ্রোতাদের জন্য মৌখিকভাবে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করার কোনো সুযোগ
নেই।
অবশ্য ফিকহবিদগণ বলেন, প্রয়োজন হলে মুখে নিষেধ না করে হাত বা মাথার ইশারা- ইঙ্গিতে পাশের ব্যক্তিকে কথাবার্তা বলা বা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা যাবে। দেখুন : হালবাতুল মুজাল্লী ২/৫৪৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৯ কেননা ইশারা-ইঙ্গিতে নিষেধ করার বিষয়টি একাধিক সাহাবা-তাবেয়ীর আমল ও আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা., আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা, যায়েদ বিন সূহান, সুফিয়ান সাওরী, আলকামা, ইবরাহীম নাখায়ী প্রমুখ। - মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৯-৫২৬৩ আর খুতবা প্রদানকারী খুতবার মাঝে প্রয়োজনে লোকদেরকে কোনো দরকারি কথা বা আদেশ-নিষেধ করতে পারবেন। এটি হাদীস-আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৫, ৫২৫৭
শোনা।
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় তুমি যদি পাশের ব্যক্তিকে বল ‘চুপ থাক’ তবে তুমি তা একটি অনর্থক কাজ করলে।-সহীহ বুখারী, হাসীস
৯৩৪
সুতরাং খুতবা চলা অবস্থায় শ্রোতাদের জন্য মৌখিকভাবে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করার কোনো সুযোগ
নেই।
অবশ্য ফিকহবিদগণ বলেন, প্রয়োজন হলে মুখে নিষেধ না করে হাত বা মাথার ইশারা- ইঙ্গিতে পাশের ব্যক্তিকে কথাবার্তা বলা বা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা যাবে। দেখুন : হালবাতুল মুজাল্লী ২/৫৪৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৯ কেননা ইশারা-ইঙ্গিতে নিষেধ করার বিষয়টি একাধিক সাহাবা-তাবেয়ীর আমল ও আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা., আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা, যায়েদ বিন সূহান, সুফিয়ান সাওরী, আলকামা, ইবরাহীম নাখায়ী প্রমুখ। - মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৯-৫২৬৩ আর খুতবা প্রদানকারী খুতবার মাঝে প্রয়োজনে লোকদেরকে কোনো দরকারি কথা বা আদেশ-নিষেধ করতে পারবেন। এটি হাদীস-আসার দ্বারা প্রমাণিত আছে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৫২৫৫, ৫২৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির জন্য দুআ, ইস্তেগফার করা ৷
- বিড়াল পালা কি জায়েয? অনেকের ঘরেই দেখা যায় বিড়াল থাকে।...
- মহিলাদের জন্য নকল চুল ব্যবহারের হুকুম কী? শুনেছি তাদের জন্য...
- আমি একজন হেফজখানার শিক্ষক। আমার হেফজখানায় কয়েকজন নাবালেগ বাচ্চাও পড়াশোনা...
- আমার একটি ছেলে জন্মের সতের দিন পরে মারা গেছে। এখন...
- ১. যাকে দেখা নাজায়েয তার ছবিও কি দেখা নাজায়েয?২. বিভিন্ন...
- আকীকা করা মূলত কার দায়িত্ব? বাবার বর্তমানে দাদা, নানা বা...
- আমার বড় ভাই একটি ছাগল যবাই করছিলেন। তখন আমি তাকে...
- এক ব্যক্তি ১০ যিলহজ্ব সকালে মুযদালিফা থেকে মিনায় যাওয়ার সময়...
- আমার দুআ কুনূত মুখস্থ নেই। এখন বিতরের তৃতীয় রাকাতে দুআ...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ বিবিধ