ফতোয়া নং: ৩২৩৩
তারিখ:
১-সেপ্টেম্বর-২০১৫
বিষয়:
বৃদ্ধ লোকদের জন্য কালো খেযাব বা অন্য রঙের খেযাব ব্যবহারের...
প্রশ্ন
বৃদ্ধ লোকদের জন্য কালো
খেযাব বা অন্য রঙের খেযাব ব্যবহারের হুকুম কী? দলিলসহ বিস্তারিত জানালে উপকৃত
হব। এছাড়া যুবকদের অসুস্থতা বা কোনো কারণে চুল সাদা হয়ে গেলে তারা কালো খেযাব ব্যবহার করতে পারবে কি?
খেযাব বা অন্য রঙের খেযাব ব্যবহারের হুকুম কী? দলিলসহ বিস্তারিত জানালে উপকৃত
হব। এছাড়া যুবকদের অসুস্থতা বা কোনো কারণে চুল সাদা হয়ে গেলে তারা কালো খেযাব ব্যবহার করতে পারবে কি?
উত্তর
বার্ধক্যের কারণে চুল-দাড়ি পেকে গেলে তাতে কালো খেযাব ব্যবহার করা
নাজায়েয। একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ার এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর পিতা আবু কুহাফা রা.-এর চুল এবং দাড়ি পাকা দেখে বললেন, এটাকে কোনো কিছু দ্বারা পরিবর্তন কর। তবে কালো থেকে বিরত থাক।
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৪৬৬
অবশ্য কোনো যুবকের অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে যদি চুল-দাড়ি পাকার বয়সের আগেই সাদা হয়ে যায় তবে সে কালো খেযাব ব্যবহার করতে পারবে। আহমাদ আলী সাহারানপুরী বলেন, হাদীসে কালো খেযাব ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর মূল কারণ অন্যদের সামনে বয়স গোপন করা এবং অন্যকে ধোঁকা দেওয়া।
হাশিয়া সহীহ বুখারী ১/৫৩০ যুবকের ক্ষেত্রে ধোঁকার এই দিকটি অনুপস্থিত। তাই
কোনো কোনো ফকীহ যুবকদের জন্য কালো খেযাব জায়েয হওয়ার মত দিয়েছেন। (ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬; ইমদাদুল আহকাম ৩/৩৭৬)
তাবেয়ী ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন, আমাদের চেহারা যখন সতেজ ছিল তখন আমরা কালো খেযাব ব্যবহার করতাম। আর যখন আমাদের চেহারা মলিন হয়ে গেল এবং দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেল তখন আমরা কালো খেযাব ছেড়ে দিয়েছি।
ফাতহুল বারী ১০/৩৬৭
অবশ্য হাদীসে যেহেতু কালো খেযাবকে বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাই যুবকদের জন্যও একেবারে কালো খেযাব ব্যবহার না করে লাল কালো মিশ্রিত খেযাব ব্যবহার করাই উচিত হবে।
:তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/১৫৪; ফায়যুল কাদীর ১/৩৩৬ আর বার্ধক্যের কারণে চুল পেকে গেলে কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করা মুস্তাহাব। যেমন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু কুহাফা রা.কে কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্য এক হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.
বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে হলুদ রং
ব্যবহার করতে দেখেছি তাই আমিও হলুদ রং ব্যবহার করতে পছন্দ করি।
-সহীহ বুখারী, হাদীস, ১৬৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২১৫-২২০; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/১৬৬-১৭০
নাজায়েয। একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ার এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর পিতা আবু কুহাফা রা.-এর চুল এবং দাড়ি পাকা দেখে বললেন, এটাকে কোনো কিছু দ্বারা পরিবর্তন কর। তবে কালো থেকে বিরত থাক।
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৪৬৬
অবশ্য কোনো যুবকের অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে যদি চুল-দাড়ি পাকার বয়সের আগেই সাদা হয়ে যায় তবে সে কালো খেযাব ব্যবহার করতে পারবে। আহমাদ আলী সাহারানপুরী বলেন, হাদীসে কালো খেযাব ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর মূল কারণ অন্যদের সামনে বয়স গোপন করা এবং অন্যকে ধোঁকা দেওয়া।
হাশিয়া সহীহ বুখারী ১/৫৩০ যুবকের ক্ষেত্রে ধোঁকার এই দিকটি অনুপস্থিত। তাই
কোনো কোনো ফকীহ যুবকদের জন্য কালো খেযাব জায়েয হওয়ার মত দিয়েছেন। (ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬; ইমদাদুল আহকাম ৩/৩৭৬)
তাবেয়ী ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন, আমাদের চেহারা যখন সতেজ ছিল তখন আমরা কালো খেযাব ব্যবহার করতাম। আর যখন আমাদের চেহারা মলিন হয়ে গেল এবং দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেল তখন আমরা কালো খেযাব ছেড়ে দিয়েছি।
ফাতহুল বারী ১০/৩৬৭
অবশ্য হাদীসে যেহেতু কালো খেযাবকে বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাই যুবকদের জন্যও একেবারে কালো খেযাব ব্যবহার না করে লাল কালো মিশ্রিত খেযাব ব্যবহার করাই উচিত হবে।
:তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/১৫৪; ফায়যুল কাদীর ১/৩৩৬ আর বার্ধক্যের কারণে চুল পেকে গেলে কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করা মুস্তাহাব। যেমন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু কুহাফা রা.কে কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্য এক হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.
বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে হলুদ রং
ব্যবহার করতে দেখেছি তাই আমিও হলুদ রং ব্যবহার করতে পছন্দ করি।
-সহীহ বুখারী, হাদীস, ১৬৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২১৫-২২০; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/১৬৬-১৭০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমার ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন আছে। সেটির ২য় তলায়...
- মুহতারাম, আমার স্বামী ইন্তেকালের পরে ওয়ারিশ সূত্রে যে সম্পদ পেয়েছি...
- সাধারণত আমি কাঁথা/কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাই। হজ্বের সময় ১০ তারিখ...
- চুল আঁচড়ানোর সময় আমি খুব উকুন মারি। হজ্বের সময় ইহরাম...
- এ বছর হজ্বের সময় ৯ যিলহজ্ব মাগরিবের পর আমরা আরাফা...
- গত রমযানে আমি ওমরা করেছি। আমি যখন ওমরার তাওয়াফ করছিলাম...
- আমি একটি মসজিদে ইমামতি করি। গত বছর আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে...
- এ বছর আমি ও আমার স্ত্রী হজ্ব করেছি। হজ্বের সময়...
- একদিন নফল তাওয়াফ করার পর তাড়াহুড়োর কারণে তাওয়াফের দুই রাকাত...
- আমি সরকারী চাকরিজীবী। লাখ খানেকের মতো নগদ টাকা আমার কাছে...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ হজ্ব