ফতোয়া নং: ৩২১৭
তারিখ:
১-সেপ্টেম্বর-২০১৫
বিষয়:
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক পদে চাকরি করছি। এই চাকরির...
প্রশ্ন
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক পদে চাকরি করছি। এই চাকরির উপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। আমার কাজ হল, মানুষের মাঝে টাকা ঋণ দেওয়া এবং সে টাকা কিছু বেশিতে আদায় করা। যেমন কাউকে ৫,০০০/-টাকা ঋণ দিলে তার কাছ থেকে কিস্তির মাধ্যমে ৬,০০০/- টাকা আদায় করা হয়। আর এ কাজের জন্য আমাকে মাসিক ৭,০০০/-টাকা বেতন দেওয়া হয়। আমার প্রশ্ন হল, এ বেতন ও এই ধরনের চাকরি কি বৈধ হবে? এ টাকা দিয়ে জীবন ধারণ করে ইবাদত করলে তা কি গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর
আপনি যে পন্থায় লেনদেন করে থাকেন তা সুদেরই একটি প্রকার। আর সুদ হচ্ছে নিকৃষ্টতম হারাম। তাই এ পদে চাকরি করা জায়েয হবে না এবং এর বেতন ভোগ করাও নাজায়েয। অতএব যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে উপার্জনের কোনো বৈধ পন্থা খুঁজে বের করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। -সূরা বাকারা : ২৭৫; সহীহ বুখারী ১/২৮০; সুনানে আবু দাউদ ২/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- সুদের টাকা দ্বারা ট্যাক্স বা ঘুষ দেওয়া বিধান ৷
- জিপি ফান্ডে বাধ্যতামূলক বা স্বেচ্ছায় বেতনের অংশ কেটে রেখে তার উপর প্রদত্ত সুদের বিধান৷
- আমরা বিশজন মিলে একটা সংগঠন করেছি। উদ্দেশ্য হল, সবাই সমানভাবে...
- আমি একজন মুদি ব্যবসায়ী। গত বছর আমি অন্য এক ব্যবসায়ীকে...
- আমি নয় লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মুদি দোকান দিতে যাচ্ছি।...
- আমাদের গ্রামে শাক সবজি ইত্যাদি চাষাবাদকারী কৃষকদেরকে ঢাকার বিভিন্ন আড়তদাররা...
- আমি একজন সরকারী চাকুরীজীবী, আমার প্রশ্ন হল১. একজন সরকারী কর্মচারী...
- আমাদের দুই ভাইয়ের মীরাস সূত্রে পাওয়া একটি মালবাহী কার্গো আছে।...
- দুই বছর পূর্বে আমি আমার বড় ভাই থেকে আঠারো লক্ষ...
- ক. ট্রেনে চলাচলকালে অনেক সময় টিকেট না থাকলে ড্রাইভার কিংবা...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ব্যবসা-চাকুরী